টিসিবি’র ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় গোবিন্দগঞ্জে টিসিবি’র ১২টি ডিলার রয়েছে। কিন্তু তাঁদের মাঝে ১০টি ডিলার টিসিবি’র কোন পণ্য বিক্রি করে না। বাকি ২টি টিসিবি’র ডিলার অনিয়মিভাবে অল্প পরিসরে কিছু পণ্য বিক্রি করে থাকে। গোবিন্দগঞ্জে টিসিবি’র পণ্য বিক্রির কার্যক্রম কখনো সম্পূর্ণ চালু হয়নি। তাই নিম্নবিত্ত্ব ও মধ্যবিত্ত্ব মানুষ ন্যায্য মূল্যে তেল, ডাল, লবন ও চিনির মত নিত্য প্রয়োজনীয় কোন পণ্য কিনতে পারে না। যার ফলে ন্যায্য মূল্যে পণ্য ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জের সাধারণ মানুষ। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী সরকারের এই মহৎ উদ্যোগের সুফল থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জে টিসিবি’র ডিলারগুলো হচ্ছেঃ (১) মেসার্স তানজিম তাসনিম – রওশন মার্কেট, (২) মেসার্স আমিনুল মোমিন – গোলাপবাগ, (৩) মেসার্স এন আর টেডার্স – আমতলা, (৪) মেসার্স জে কে স্টোরস – গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা, (৫) মেসার্স আব্দুল বারী – মহিমাগঞ্জ, (৬) মেসার্স শরিফুল ইসলাম রাজু – গার্লস স্কুল রোড, (৭) মেসার্স বিধান চন্দ্র সাহা – গোলাপবাগ, (৮) মেসার্স কৃষ্ণ কমল সাহা – গোলাপবাগ, (৯) মেসার্স মৌলি স্টোরস – হাইস্কুল মার্কেট, (১০) মেসার্স টিপু ট্রেডার্স – জনতা ব্যাংক চত্ত্বর, (১১) মেসার্স নিয়াজ এন্ড লিংকন ট্রেডার্স – পশ্চিম চৌমাথা ও (১২) মেসার্স আনান ট্রেডার্স – ঝিলপাড়া।
আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পবিত্র মাহে রমজান শুরু হতে যাচ্ছে। রমজান মাস আসলেই বাজারে হু হু করে সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। আসন্ন রমজানেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেশী হবে, এটাই স্বাভাবিক। এসময় দেশের অন্যান্য এলাকার মত করে গোবিন্দগঞ্জের সাধারণ মানুষ ন্যায্য মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিশেষ করে তেল, ডাল, ছোলা, চিনি, লবন, পিয়াজ ইত্যাদি কিনতে পারে না। কারণ হিসাবে ডিলারদের উদাসীনতা, ডিলারদের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই, ডিলারদের টিসিবি পণ্যের জন্য আলাদাভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার অনীহা, প্রশাসনের নজরদারীর অভাব, জনপ্রতিনিধিদের দায়সারা মনোভাব ও ভোক্তাদের জবাবদিহিতা চাওয়ার ঘাটতি মূলত দায়ী। গত রমজানের মত এবার রমজানেও যেন গোবিন্দগঞ্জের মানুষ টিসিবি’র পণ্য কেনা থেকে বঞ্চিত না হয় বলে সুশীল সমাজের জোর দাবী। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিলারদের আলোচনা, অনিয়মিত ডিলারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রতিদিন বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। অন্যথায় গত রমজানের মত আসছে রমজানেও গোবিন্দগঞ্জের সাধারন মানুষ ন্যায্য মূল্যে টিসিবি’র পণ্য কেনা থেকে বঞ্চিত হবে। গত এক বছর যাবত করোনা ভাইরাসের মরণ থাবা, প্রকোপ বেশী হলেই লক ডাউন, আগের তুলনায় আয় কমে যাওয়া ও সবশেষে বাজারে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি – এ যেন গরীবের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা। তাদের কি বাঁচার কোন অধিকার নেই?